বিজয়নগর থানার অফিসারদের নাম ও মোবাইল নম্বরঃ-
অফিসার | মোবাইল | ই-মেইল |
অফিসার ইনচার্জ | 01320115189 | bijoynagarthana@gmail.com |
পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) | 01320115190 | |
ডিউটি অফিসার | 01320115194 |
কসবা উপজেলা বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা এবং উপজেলা।
কসবা উপজেলার আয়তন ২০৯.৭৮ বর্গ কিলোমিটার (৫১,৮৩৭ একর)।[২] এ উপজেলার উত্তর-পূর্বে আখাউড়া উপজেলা, উত্তরে তিতাস নদী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা, উত্তর-পশ্চিমে নবীনগর উপজেলা, দক্ষিণ-পশ্চিমে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলা ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা এবং দক্ষিণে ও পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা প্রদেশ অবস্থিত।
কসবা একটি ফরাসি শব্দ । কসবা শব্দটির আভিধানিক অর্থ জনপদ অথবা উপশহর।ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনামলে এ নামকরণ করা হয়।অনেক ঐতিহাসিকের মতে কসবার আদি নাম ছিল কৈলাগড়।কিল্লা শব্দের অর্থ সেনানিবাস যা সামান্য পরিবর্তিত হয়ে হয়েছে কৈলা।গড় অর্থ দুর্গ।মুসলমানদের শাসনামলে এ কসবা ছিল একটি কিল্লা বা সেনানিবাস।আর এভাবেই কৈলাগড় থেকে কসবার উৎপত্তি।ভারতবর্ষে মুসলমান শাসনামলে ১৩৩৮ খ্রিষ্টাব্দে আলাউদ্দিন হোসেন শাহ রেল স্টেশনের পশ্চিম পাশে কৈলাগড় নামে একটি দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন। ঐ দুর্গের আশে পাশে প্রথম দিকে জনবসতি এবং পরবর্তীতে আস্তে আস্তে ছোট শহর কসবা গড়ে ওঠে। ত্রিপুরা রাজ্যের ইতিহাস গ্রন্থ "রাজমালা"থেকে জানা গেছে কোন এক সময়ে এই কসবা ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী ছিল। কসবা ছিল সুলতানি আমলের উপবিভাগীয় প্রশাসনিক কেন্দ্র। প্রশাসনিক উপ-বিভাগগুলোর মধ্যে ইকলিম, ইকতা, মুকতা, ইরতা, সোয়ার,ও কসবা নামের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত মোট ৩৭টি কসবার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। কসবাগুলির অধিকাংশই বর্তমান জেলা শহরের মধ্যে বা অদুরে অবস্থিত ছিল। একটি কসবার অবস্থান থেকে অন্যটির দূরত্ব ও একটি বিষয়। এসব নামের সঙ্গে অনেক রাজকীয় আমলার পদবির সংযুক্তি লক্ষ করা যায়, যেমনঃ কাজূর কসবা, কতোয়ালের কসবা, শহর কসবা, নগর কসবা ইত্যাদি। কসবাগুলোর অবস্থান, একটির সঙ্গে অপরটির দূরত্ব, রাষ্ট্রীয় কিংবা প্রাদেশিক রাজধানীর সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থা এবং নামের সঙ্গে যুক্ত রাজকীয় পদবি ও অন্যান্য বিষয় বিচেনা করে কসবাকে সুলতানি আমলের একটি উপ-বিভাগীয় প্রশাসন কেন্দ্র বলা যেতে পারে। সুলতানি আমলের ‘কসবা’ কে জেলা হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। কসবার দায়িত্বে ছিলেন একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা, একজন কাজি ও একজন কতোয়ালী। মূঘল আমলের অধিকাংশ কসবাই পূর্বের গুরুত্ব হারিয়ে ফেলে।
বাংলাদেশের প্রায় সকল ভৌগোলিক উপাদান ও বৈশিষ্ট্য এখানে পরিলক্ষিত হয়। বিস্তীর্ণ সমভূমি, নিচু ভূমি, জলাশয়, উচ্চ ও অনুচ্চ পাহাড়, লাল মাটির পাহাড়, নদী-নালা, খাল বিল পরিবেষ্টিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের লীলা ভূমি। সমগ্র কসবা ছিল নূরনগর পরগনার অন্তর্ভূক্ত। তিতাস, সালদা, বিজনা, সিনাই, সাঙ্গুর, বুড়ি,রাজার খাল,অদের খাল, কালিয়ারা নদী একে বেকে কসবার মধ্যে অতিক্রম করে গেছে। এ উপজেলার পূর্বপ্রান্তে রয়েছে লাল মাটির পাহাড়ী টিলা ভূমি। ছোট ছোট টিলার সবুজ বনানী আর পশ্চিম প্রান্তে সমতল ভূমির প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক ঐতিহ্যবাহী স্থান কসবা উপজেলা যা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার দক্ষিণ সীমান্তে অবস্থিত। বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ, সবুজ গাছপালায় ঢাকা গ্রাম, পাহাড়ী টিলার সবুজ বনানী কসবার প্রকৃতিকে করে তুলেছে অপরুপ। আদি বসতির বিভিন্ন নিদর্শন, ঐতিহ্য আর আধুনিকতার মিশেলে গড়ে উঠেছে আজকের কসবা উপজেলা।
কসবা উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম কসবা থানার আওতাধীন।
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে কসবা উপজেলার মোট জনসংখ্যা ৩,১৯,২২১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১,৫১,৮৫২ জন এবং মহিলা ১,৬৭,৩৬৯ জন। মোট পরিবার ৬০,৯১৯টি।[২] জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১,৫২২ জন।[৩]
ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ুর অন্তর্গত । এ উপজেলায় গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শীত এই তিনটি ঋতুর প্রাধান্য পরিলক্ষিত হয়। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা মে মাসে ৩০ ডিঃসেঃ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ডিঃসেঃ পরিলক্ষিত হয়। জলবায়ু নাতিশীতোষ্ণ ও স্বাস্থ্যকর। বার্ষিক সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ১১৪.৬৫ ইঞ্চি এবং সর্বনিম্ন বৃষ্টিপাত ৫৬.৪৩ ইঞ্চি এবং গড় বৃষ্টিপাত ৭৮.০৬ ইঞ্চি।
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী কসবা উপজেলার সাক্ষরতার হার ৫০.৭%।[২] এখানে রয়েছেঃ
স্বাস্থ্য সেবাদানের জন্য রয়েছেঃ
এখানকার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ কৃষক।
ব্র্যাক, আশা, গ্রামীন ব্যাংক, সিদীপ,সাজেদা ফাউন্ডেশন‚ মোখলেছুর রহমান ফাউন্ডেশন এনজিওদের মধ্যে অন্যতম।
সংসদীয় আসন | জাতীয় নির্বাচনী এলাকা[৫] | সংসদ সদস্য[৬][৭][৮][৯][১০] | রাজনৈতিক দল |
---|---|---|---|
২৪৬ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ | আখাউড়া উপজেলা এবং কসবা উপজেলা | আনিসুল হক | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |